এখন আমি আপনাকে ১০০ গ্রাহক নিয়ে ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ আদর্শ লগ্নি পরিকল্পনা জানাবো যা বর্তমান বাজার যাচাইকৃত এবং আদর্শ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির যথাযথ বিনিয়োগের সঠিক রেখাচিত্র।
১০০ গ্রাহক নিয়ে লগ্নি উপাত্ত দিলে সুবিধা হবে আপনার ব্যবসার গ্রাহক বেশি থাকলে আপনি এই উপাত্তের উপর ভিত্তি করে যেকোনো সংখ্যক গ্রাহকের জন্য সঠিকভাবে যথাযত বিনিয়োগের হিসাব করতে পারবেন। তাছাড়া বিনিয়োগের যোক্তিক খাত সমূহ এবং আনুমানিক বিনিয়োগের পরিমান সম্পর্কে সুস্পষ্ট বাজার যাচাইকৃত ধারণা পাবেন যাতে আপনি আপনার এই ব্যবসাকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে পারেন। সবমিলিয়ে এই তথ্য ভান্ডার আপনার ব্যবসার অন্যতম সহায়িকা স্বরূপ কাজে লাগবে। যাহোক ১০০ জন গ্রাহকের আদর্শ লগ্নি পরিকল্পনা নিম্নরূপ:
বিনিয়োগের যোক্তিক খাত সমূহ | আনুমানিক বিনিয়োগ (টাকা) |
অফিস ভাড়া: সিটি/জেলা/ উপজেলা/গ্রাম বি.দ্রঃ পপ (POP) সেট আপের সার্ভার রুমের জন্য অন্তত একটি কক্ষ বরাদ্দ থাকবে। | ১৫০০০/৮০০০/৫০০০/৩০০০ |
সার্ভার র্যাক (Server Rak) | ২৫০০০/ ২২০০০/ ৪০০০০ |
১জি সুইচ | ৩২০০০/৩৪০০০ |
আইএসপি ব্যাটারি এন্ড ব্যাকআপ | ৩৫০০০-৪০০০০ |
ফাইবার ২/৩ কিলোমিটারের জন্য | ৩০০০০-৪০০০০ |
ফাইবার ৪ কোর (১৫ কি. মি.) | ১৮০০০০ |
ফাইবার ১২ কোর (১ কি. মি.) | ২৮০০০ |
ইলেকট্রিক ডিভাইস | ৮০০০-১০০০০ |
ইউটিপি ক্যাবল (UTP Cable) ৪ বাক্স | ১০০০০-১৫০০০ |
মিডিয়া কনভার্টার ৭০ পিয়ার (Media converter 70 peer) | ১১৯০০০ |
সুইচ ৫০ পিস | ৩০০০০-৩৫০০০ |
প্যাচ কোর (PAS Core), ক্যাবল টাই (Cable Tie) ও এসএফপি মডিউল (SFP Module) | ২০০০০ |
মাইক্রোটিক রাউটার (সিসিআর) | ৬৫০০০-১০০০০০ |
কম্পিউটার | ৩০০০০-৩৫০০০ |
কর্মচারী ৩ জন | ৩০০০০ |
বাক্স (স্টীল) ৪০ পিস | ২৫০০০-৩০০০০ |
সার্ভার রুম এসি | ৪০০০০/৬৫০০০/৭০০০০ |
ফার্নিচার | ৫০০০০-৭০০০০ |
বিবিধ (মোবাইল, মই, টেকনিশিয়ানদের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য) | ৫০০০০-১০০০০০ |
আপনার মনে হওয়াটা স্বাভাবিক ২০০০-৩০০০ টাকায় ব্যান্ডউইথ কিনে ১০০০-১২০০ টাকায় গ্রাহকের কাছে বিক্রি করলে লাভ-ক্ষতির অংকের হিসাবে তো আপনার বড় অংকের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তাহলে লাভ হবে কিভাবে?
দুশ্চিন্তা বা ভয়ের কিছুই নাই এখানে। কেননা ব্যান্ডউইথ শেয়ারিং ও ব্যান্ডউইথের অত্যানুকূল ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অবশ্যই মুনাফা অর্জিত হবেই।
ধরুন বেসরকারি আইআইজি (IIG) এর নিজস্ব লাইন থেকে ১ এমবিপিএস ডেডিকেটেড ব্যান্ডউইথ নিলেন ২০০০ টাকা দিয়ে। এই ১ এমবি থেকে ৪ জনকে ১ এমবিপিএস করে দিতে পারবেন যদি গ্রাহক সংখ্যা ৮০ থেকে ১২০ মতো হয়। কারণ সবাই একসাথে ব্যবহার করবে না, হয়তো ২ জন একটিভ আছে টিক ওই সময়ে বাকি দুই জন ইনাক্টিভ থাকবে। এরমধ্যে হয়তো একজন একটিভ আছে কিন্তু কোনো ডাউনলোড দিচ্ছে না অর্থাৎ শুধু নেট সার্ফিং করছে এবং অন্যজন হয়তো মুভি ডাউনলোড দিচ্ছে; তাই শুধু তার লাইনে লোড বেশি আছে কিন্তু অন্য লাইন গুলা ফ্রি আছে ঠিক ওই সময়ে। অতএব এটা সুস্পষ্ট যে ১ এমবি থেকে ৪ জনকে দিলেও গ্রাহক পূর্ণ গতিতে ব্রাউজ করতে পারবে। যদি চার জন গ্রাহক আপনাকে ইন্টানেট সেবা মূল্য বাবদ ১০০০ টাকা করে দেয় তাহলে বিক্রয় মূল্য হয় সর্বমোট ৪০০০ টাকা ।
আমরা জানি, মুনাফা = বিক্রয় মূল্য – ক্রয়মূল্য = (৪০০০-২০০০)টাকা = ২০০০ টাকা। অতএব, আপনার লাভ থাকে ২০০০ টাকা।এখন, যদি আপনার গ্রাহক সংখ্যা ১৫০ থেকে ২৫০ মধ্যে হয়। তাহলে আপনি এই ১ এমবি থেকে ৬ জনকে ১ এমবিপিএস করে দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে, অনুরূপভাবে আপনার মুনাফা হবে ৪০০০ টাকা। এভাবে গ্রাহক সংখ্যা ৫০o অতিক্রম করলে আপনি এই ১ এমবি থেকে ৮ জনকে ১ এমবিপিএস করে দিতে পারবেন সেক্ষেত্রে, অনুরূপভাবে আপনার মুনাফা হবে ৬০০০ টাকা। একটা কথা মাথায় রাখবেন সবসময়, গ্রাহকদের সন্তোষজনক গতি বা নেট স্পিড (Net Speed) আপনাকে ঠিক রাখতে হবে। তাই বেশি লাভ করার চেয়ে গ্রাহক সেবার যথাযত মান ঠিক রাখতে পারলে আপনার ব্যবসার ক্ষেত্র সুদূরপ্রসারী হবে। লক্ষ্যণীয় যে, এই ব্যবসায় প্রথম দিকে তেমন লাভ হয় না। কারণ, গ্রাহক কম মানে একটিভ গ্রাহকের আনুপাতিক হার বেশি। তাই আপনি চাইলেই ৪ বা ৬ জন কে দিতে পারবেন না আর দিলেও পূর্ণ গতি (Full Speed) সুনিশ্চিত করতে পারবেন না। এইজন্য প্রথম দিকে ২ বা ৩ জন গ্রাহক কে দিয়ে শুরু করবেন। যত গ্রাহক তত আয় নীতিতে চলে এই ব্যবসা। কেননা আইএসপি (ISP) ব্যবসা সম্পূর্ণ গ্রাহকের উপর নির্ভরশীল ব্যবসা। যদি ১০০ জন গ্রাহক আপনি পান তবে মাসে ২৫০০০-৩০০০০ টাকা আয় করা যাবে। আর গ্রাহক বাড়লে সমানুপাতিক হারে আপনার আয় ও বেড়ে যাবে নিশ্চিত। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এলাকায় শুরু করলে আয় কিছুটা কম হবে। কারণ, আপনাকে প্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপরীতে আকর্ষণীয় প্যাকেজ চালু করতে হবে। আর আপনার এলাকায় আর কোনো আইএসপি ব্যবসায়ী না থাকলে তো একাদশে বৃহস্পতি! আপনার ইচ্ছামত প্যাকেজের দাম হাঁকিয়ে মনঃপূত আয় করতে পারবেন।
বিনিয়োগ কি:
সাধারণত আমরা জমিজমা, ঘরবাড়ি, ভোগ্যপণ্য, সেবা বা ব্যবসা-বাণিজ্যে অর্থ ব্যয় করাকে বিনিয়োগ বলে মনে করি। যেহেতু এ বিনিয়োগ প্রকৃত উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে না। সেহেতু অর্থনীতিতে এ ধরনের ব্যয়কে বিনিয়োগ নামে অভিহিত করা হয় না। কেননা এটা সম্পদের স্থানান্তর ছাড়া আর কিছুই না। অর্থাৎ একজনের সম্পদ অন্য জনের কাছে স্থানান্তর মাত্র। আসলে এগুলো হলো দৈনন্দিন জীবনের চলার পথের আনুষঙ্গিক ব্যয় বা অর্থনীতির পরিভাষায় প্রত্যক্ষ ব্যয়।
আসলে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বলতে বোঝায় নতুন মূলধন দ্রব্যের উৎপাদনে অর্থ লগ্নি করা। অর্থাৎ সমাজে নতুন মূলধন দ্রব্য সৃষ্টিকেই বিনিয়োগ বলা হয়। সাজিয়ে গুছিয়ে বললে এভাবে বলা যাই,
লগ্নি করা অর্থের দ্বারা ভোগ্যপণ্য বা সেবা উৎপাদনের নিমিত্তে দেশে নতুন কলকারখানা, যন্ত্রপাতি প্রভৃতির উদ্ভব হলে এবং আয় ও কর্মসংস্থান বাড়লে তবেই তাকে বিনিয়োগ বলা হয়।
প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনসের মতে, ‘পূর্বের মূলধন দ্রব্যের সঙ্গে নতুন মূলধন দ্রব্যের সংযোজনই হলো বিনিয়োগ।’
ধরুন আপনি, আইএসপি (ISP) ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিষ লাখের মতো অর্থ লগ্নি করলেন এতে ৫০ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃস্টি হলো পাশাপাশি আইএসপি ইন্ডাস্ট্রীর বৈপ্লবিক সেবায় দেশ আধুনিক ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে তথ্য ও প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করলো। তাহলে, অর্থনীতির পরিভাষায় আপনার লগ্নি করা অর্থ হলো বিনিয়োগ।
আইএসপি (ISP) ব্যবসা বা যেকোনো ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের সহায়িকা পরামর্শ সমূহ নিম্নরূপ:এবার আসি লগ্নিতত্ত্বে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগবে এই ব্যবসায় কত বিনিয়োগ করতে হবে। পুঁজি কত লাগবে তা ঠিক হবে আপনার প্রাথমিক প্লানের উপর। সহজ কথায় বললে, বিনিয়োগ বা পুঁজি কত লাগবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কত কিলোমিটার এলাকায় লাইন টানবেন বা আপনার কাভারেজ এলাকা কতটা বিস্তৃত হবে তার উপর।
যন্ত্রপাতি ও লাইসেন্স করার জন্য লাগবে ৮০,০০০-৯০,০০০ টাকা। এর মধ্যে কম্পিউটার ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা, আর যদি আপনার কম্পিউটার থাকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা ও মাইক্রোটিক রাউটার ৩৬,০০০-৪০,০০০ টাকা। যদি আরো ভালো চান এর চাইতেও বেশি দামের মাইক্রোটিক রাউটার আপনারা বাজারে পাবেন। সেই সাথে, মিডিয়া কনভার্টার ৪৫০০ টাকা, সুইচ বক্স ও কানেকশন পোর্ট প্রতি কিলোমিটার লাইনে ১০,০০০ টাকা, ক্যাবল প্রতি কিলোমিটার ১২,০০০ – ১৩০০০ টাকা, লাইসেন্স ফি ১০০০ টাকা, কানেকশন ফি ১০,০০০-২০,০০০ টাকা, ব্যান্ডউইথ প্রতি মেগাবিট ১০০০-৩০০০ টাকা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ১০০০০০ টাকার মতো।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, বিটিসিএল থেকে নিলে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইথের দাম পড়বে ২৮০০ টাকা, বেসরকারি আইআইজি (IIG) এর নিজস্ব লাইন থেকে নিলে দাম পড়বে ১০০০-১৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।আপনি যদি মফস্বল বা গ্রামে ব্যবসা করতে চান, তবে উপরিল্লিখিত দুইটা অপশন না থাকলেও হতাশ হওয়ার কারণ নেই। যেহেতু মোবাইল অপারেটরদের ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কারণে এখন গ্রাম পর্যায়েও অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে গেছে। আপনি চাইলে মোবাইলের টাওয়ারের বিটিএস থেকে মেগাবিট কিনতে পারবেন। সেক্ষেত্রে দামটা একটু বেশি পড়বে। মোবাইলের টাওয়ারের বিটিএস থেকে নিলে প্রতি মেগাবিট পড়বে ৩০০০-৫০০০ টাকা।
শুরুতে মোটামুটি আপনি ১০ এমবি ব্যান্ডউইথ আর ৪ কিলোমিটার লাইন টেনে ৫০০,০০০-৬০০,০০০ টাকার মধ্যেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। পুঁজি আরো কম হলে এর এক তৃতীয়ংশ কম বিনিয়োগে অন্তত ২ কিলোমিটার কাভারেজ লাইনে ৫ এমবি ব্যান্ডউইথ দিয়ে শুরু করতে পারেন। পরে ব্যবসা বাড়লে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিবেন। এক্ষেত্রে পুনর্বিনিয়োগ করে আপনি ধাপে ধাপে আপনার ব্যবসার বিস্তৃতি করতে পারবেন। এটা নূন্যতম বিনিয়োগে ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা মাত্র। এর পরের পর্বে আমারা আপনাদের ১০০ জন গ্রাহক নিয়ে ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ আদর্শ লগ্নি পরিকল্পনা জানাবো।
You must be logged in to post a comment.
আইএসপি (ISP) কি?
আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) এমন একটি সংস্থা যা ব্যক্তি ও অন্যান্য সংস্থাগুলি ইন্টারনেট এবং অন্যান্য সম্পর্কিত পরিষেবাদি যেমন ওয়েব সাইট বিল্ডিং এবং ভার্চুয়াল হোস্টিং অ্যাক্সেস প্রদান করে। ইন্টারনেটের ভৌগলিক পরিসেবা প্রদানের জন্য আইএসপি প্রতিষ্ঠানের এর অনেক যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় টেলিকমিউনিকেশন লাইন এক্সেস আছে। ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোনো না কোনো আইএসপির সঙ্গে সংযুক্ত হতে হবে। পৃথিবীর যে কোনো দেশেই হোকনা কেন ইন্টারনেট সংযোগের পাওয়ার জন্য অবশ্যই একটি আইএসপি থাকতে হবে। কেবল সংযোগের ক্ষেত্রে আইএসপির একটি রাউটারের মাধ্যমে সংযোগ প্রদান করে। অর্থাৎ, গ্রাহকরা রাউটার এর মাধ্যমে তার আইএসপির সাথে যুক্ত। রাউটার এখানে সবার মাঝে ইন্টারনেট পৌছানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আর যদি আপনার সংযোগটি যদি ডায়াল আপ হয়ে থাকে তাহলে আইএসপি সংযোগের মাঝখানে একটি ট্রিপল পি বা “পয়েন্ট টু পয়েন্ট” প্রটোকল সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই প্রটোকল একটি আইএসপি এর সঙ্গে আরেকটি আইএসপিকে সংযুক্ত করে। অতএব, সকল গ্রাহক কোনো না কোনো আইএসপির সাথে সংযুক্ত।
আইএসপি (ISP) ব্যবসা কি? বাংলাদেশের আইএসপি (ISP) ব্যবসার ধরণ:আইএসপি ব্যবসা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা দানকারী ব্যবসা যেখানে একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট সম্পর্কিত পরিষেবাদি অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করে।
বাংলাদেশের আইএসপি (ISP) ব্যবসায়ীরা এখন ঘরে ঘরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিশ্চিত করছে। মোবাইল অপারেটরদের ধীর গতির ইন্টারনেট, কোনো আনলিমিটেড প্যাকেজ না থাকা, উচ্চ মূল্যে মাত্র কয়েক MB বা GB হিসেবে ব্যবহার এসব কারণে গ্রাহকদের পছন্দের জায়গা এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট।
যদিও মোবাইল অপারেটররা ৩জি সেবা দেওয়া শুরু করেছে, তবুও শম্বুক গতির কারণে তা গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে বিফল হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কম টাকায় উচ্চ গতির নেট পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। স্বল্প মূল্যের আকর্ষণীয় আনলিমিটেড প্যাকেজ, অসংখ্য প্যাকেজ-এর মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় প্যাকেজ বাছাই সুবিধা, প্রয়োজন অনুযায়ী স্পিড, ব্যাবহারকারী অনুযায়ী প্যাকেজ ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ মানুষই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে অনুরাগী হয়ে উঠেছে। কিন্তু এদেশের খুব কম জায়গাতেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আছে। বড় শহরগুলোতে এটা কেবল সদ্য সম্পরণশীল ব্যবসা। জেলা-উপজেলা বা মফস্বল গুলোতে এখনো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ভালোভাবে বিস্তার লাভ করে নাই। অতএব, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা কম ঝুঁকিপূর্ণ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
কিভাবে শুরু করবেন:ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা করতে হলে প্রথমে জরিপ করে নিন আপনার ব্যাবসায়িক এলাকায় ইন্টারনেট আইএসপি কোম্পানি কতগুলা? সেই অনুপাতে আপনার ব্যাবসায়িক এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত। ভবিষ্যতে ব্যবহারকারী বৃদ্ধির হার কেমন হবে। আপনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরে ফলাফল যদি সন্তোষজনক মনে হয় তাহলে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স করতে হবে। লাইসেন্স করার জন্য অবশ্যই নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) থেকে দেয়া নির্ধারিত ফর্মে আবেদন দাখিল করতে হবে। বিটিআরসি (BTRC) এর ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই ফর্ম নামিয়ে নিতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্তে ফরম পাবেন এখানে। সতর্কতার সাথে ফর্ম পূরণ করে ফর্মে উল্লেখিত সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে বিটিআরসি (BTRC) হেড অফিসে জমা দিতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদন করার ৩ মাসের মধ্যে লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
সকলের জ্ঞাতার্থে কার্যালয়ের ঠিকানা নিম্নরূপ:ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় হলো ব্যান্ডউইথ। ব্যান্ডউইথ বিনা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা সম্ভৰ নয়। বিটিসিএলের ফাইবার লাইনের পপস পোর্ট অথবা মোবাইল অপারেটরদের অপটিক্যাল ফাইবার হতে পারে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথের উৎস। বিটিসিএলের ফাইবার লাইনের পপস পোর্ট আছে শুধু জেলা শহরগুলিতে। যদি আপনার এলাকা উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে হয়ে থাকে তাহলেও তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ মোবাইল অপারেটরদের ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কারণে এখন ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়েও অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে গেছে।
বর্তমানে, ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ইউআইএসসি) এর জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্বার গতিতে অপটিক্যাল ফাইবার সম্প্রসারণ চলছে। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ইউআইএসসি) হলো বাংলাদেশের ইউনিয়নভিত্তিক তথ্য-সেবা কেন্দ্র, যার উদ্দেশ্য হলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যসেবা নিশ্চিত করা। ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র ২০০৭ সালে ‘কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার’ (সিইসি) নামে শুরু হয়। ২০০৭ সালের এ পাইলট প্রকল্পে অভিজ্ঞতার আলোকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগ এটুআই প্রোগ্রামের সহায়তায় ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদে সিইসি থেকে বেরিয়ে এসে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। তাছাড়া, ২০১৬ সালে সারাদেশে গ্রাম পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তার’ নামে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে। বিটিসিএলের এই প্রকল্পের আওতায় ৭ লাখ ৮ হাজার ৩০ কিলোমিটার ফাইবার কেবল স্থাপন করা হয়। ইন্টারনেট বর্তমানে একটি মৌলিক অধিকারের প্রায় কাছাকাছি জায়গায় অবস্থান করছে। সাধারণত, শহর ও গ্রামের বৈষম্য অনেক। এই প্রকল্পের কারণে শহর ও গ্রামের বৈষম্য অনেকাংশে কমে যাবে। গ্রামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা না দিলে শহরের মানুষের চেয়ে তারা পিছিয়েই থাকবে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই। অতএব হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।
পাশাপাশি, বেসরকারি IIG (International Internet Gateway) গুলা প্রায় সারাদেশে অতি দ্রুত তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতেছে। আপনাকে ঐসব IIG এর কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন আপনার এলাকায় তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের পপস পোর্ট আছে কিনা। এখন পর্যন্ত বিটিআরসি (BTRC)-এর তালিকাভুক্ত মোট ৩৬টি ব্যান্ডউইথ প্রোভাইডার রয়েছে। এই কোম্পানি গুলো সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এখানে। বিটিসিএল (BTCL) সহ কয়েকটি IIG কোম্পানি সারাদেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এবং তারা তুলনামূলক কম দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে। তারপরও যদি একটু দূরে পোর্ট থাকে ঐখান থেকেও রেডিও লিংক করে আনতে পারবেন। আর যদি পপস পোর্টের দূরত্ব অনেক বেশি হয় তাইলে দুইটি উপায়ে ব্যান্ডউইথ নিতে পারবেন। প্রথম উপায় হলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ নেয়া আর দ্বিতীয়টি হলো মাইক্রোওয়েভ দ্বারা কানেক্টেড মোবাইল টাওয়ারের বিটিএস নেয়া। কিন্তু এই দুই পদ্ধতিতেই অনেক ব্যয়বহুল। এতে ব্যান্ডউইথের দাম অনেক বেশি পড়বে। বিকল্প হিসেবে বড় জেলা শহর গুলোর আইএসপি কোম্পানি থেকে কম দামে সাবলাইন নেয়া। পরের পর্বে আমরা বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
You must be logged in to post a comment.
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আজকের সভ্যতার এই বিশাল ইমারত, বিমান, রকেট, রোবট ইত্যাদি ইত্যাদি সবই মানুষের যুগ যুগান্তরের স্বপ্ন ও সাধনার ফসল। মানুষ সভ্যতার বেদীমূলে দিয়েছে মস্তিষ্কের বুদ্ধি, ইন্দ্রিয়ের অনুভূতি এবং হৃদয়ের ভালোবাসা। বিজ্ঞান সে সভ্যতাকে করেছে গতিশীল, অগ্রসর ও আধুনিক। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে পুরো বিশ্ব আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। বর্তমানে উন্নত দেশগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। দেশেও এর দ্রুত অগ্রগতি ঘটছে। কারন আমাদের দেশে সরকারি, আধাসরকারী, বেসরকারীসহ সকল প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল প্রযুক্তির দিকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের হাতে। বর্তমানে প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপশি অনলাইন মিডিয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রিন্ট মিডিয়া যেখানে পৌঁছতে পারছে না অথবা পৌঁছতে অনেক সময়ের প্রয়োজন সেখানে অনলাইনে স্মার্টফোনের মাধ্যমে সে খবর মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মিডিয়া গুলো বহাল তবীয়তে ডিজিটাল দুনিয়া শাসন করছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আজ তথ্যের স্বচ্ছতা বিধানের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অদক্ষতা নির্ণয় করা সহজ হচ্ছে যা দেশকে এগিয়ে নিতে অন্য এক মাত্রা যোগ করেছে। কম্পিউটার পেশাজীবীদের সুক্ষ্ ও দক্ষ মস্তিষ্কের কারিশমায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-সার্ভিস প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। বিগত কয়েকটি বছর ধরে যে হারে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটেছে তাতে ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সুশিক্ষিত, সুদক্ষ, এবং সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ফ্রীল্যান্সিং অথবা আউটসোর্সিং অনলাইনে টাকা উপার্জন করার অনেকগুলো মাধ্যমের মধ্যে একটি জনপ্রিয় এবং সত্যিকার সহজ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। আপনার নিজের কোন দক্ষতা দিয়ে অনলাইনে ঘরে বসেই অন্যান্যদের কাজের অথবা সমস্যার সমাধান করে দিয়ে আয় করতে পারেন মোটা অংকের টাকা। বর্তমানে আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেসগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথমদিকে। বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা যেমন ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করছেন তেমনি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তির জয়জয়কার এ যুগে ঘরে বসেই প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর এসব কিছুই সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেটের কল্যাণে।
যেখানে ইন্টারনেটের কল্যাণে সারাবিশ্ব উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে থাকবে। যুগের সাথে তাল মিলাতে, সম্প্রতি বাংলাদেশ দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছে। এতে আরো উন্নত ইন্টারনেট সেবার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, আইএসপি (ISP) বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ব্যবসা নতুন উদ্যোক্তাদের নিকটে অমিত সম্ভাবনার ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়েছে। আজকে আমরা আইএসপি (ISP) ব্যবসার সাথে পরিচিত হবো। এই ব্যবসার যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোকপাত করবো। তবে, আমার প্রবন্ধ কয়েকটি পর্বে সম্পূর্ণ হবে। আশা করি এই সবকটি পর্বের সমন্বয়ে পূর্ণ প্রবন্ধটি হবে বাংলা ভাষায় প্রথম আইএসপি (ISP) ব্যবসার পথপ্রদর্শক গ্রন্থ।
অনেকেই আইএসপি (ISP) বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বিজনেস কিভাবে শুরু করতে হয় জানেন না, কিন্তু এই ব্যবসা নিয়ে জানার অনেক আগ্রহ আছে। তাই আইএসপি (ISP) ব্যবসা যারা করতে আগ্রহী তাদের জন্য আমার এই লেখা সহায়ক হবে। আইএসপি ব্যবসা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা দানকারী ব্যবসা। এটা হতে পারে খুচরা ও পাইকারি উভয় প্রকার। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট বা আন্তর্জাল কি ? কি তার ইতিহাস ? কিভাবে কাজ করে? কেননা এগুলো জানলে আইএসপি (ISP) ব্যবসা বুঝতে সুবিধা হবে।
ইন্টারনেট কি?
সহজ কথায়, ইন্টারনেট হলো সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত জাল (Net), পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো যোগাযোগ ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র বা কম্পিউটারের সমষ্টি যা থেকে যেকোনো সময়ে যেকোনো তথ্য আদান-প্রদান করা যেতে পারে। আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়।
ইন্টারনেটের ইতিহাস:
১৯৫০ সালের দিকে ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের উন্নয়নের সাথে ইন্টারনেটের ইতিহাস শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের বেশ কিছু কম্পিউটার বিজ্ঞান ল্যাবরেটরিতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রাথমিক ধারণা আসে এবং এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়। ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট্স এজেন্সি (Advanced Research Projects Agency) বা আরপা (ARPA) পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা এই নেটওয়ার্ক আরপানেট (ARPANET) নামে পরিচিত ছিল। এই প্রজেক্ট সম্পন্ন হয় রবার্ট টেলরের পরিচালনায় এবং লরেন্স রবার্টসের ব্যথাপনায়। ১৯৬৯ সালে,ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান অধ্যাপক লিওনার্ড ক্লাইনারক কর্তৃক ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগার হতে প্রথম বার্তা পাঠানো হয়েছিল স্টারফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআরআই) কম্পিউটারে। ১৯৭০ সালে, ইন্টারনেট প্রোটোকল স্যুট (টিসিপি / আইপি) রবার্ট ই কান এবং ভিন্ট সেরফ তৈরী করেছিল এবং এটি ARPANET এ প্রমিত নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইন্টারনেট ১৯৮৯ সালে আইএসপি দ্বারা সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০ এর পরবর্তি সময়ের দিকে পশ্চিমাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হতে থাকে। ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ইন্টারনেট যোগাযোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির উপর বিপ্লবী প্রভাব বলয় তৈরী হয়েছিল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ডাক বা ইলেকট্রিক মেইল, তাৎক্ষণিক বার্তা প্রেরণ, ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) টেলিফোন কল, টু-ওয়ে ইন্টারেক্টিভ ভিডিও কল,আলোচনা ফোরাম, ব্লগ, অনলাইন নিউজ, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, অনলাইন শপিং সাইট ইত্যাদি ইত্যাদি আরো কত কি সম্ভব হয়েছে। আগামী পর্বে আমরা আইএসপি (ISP) ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব।
You must be logged in to post a comment.
TUCANA RESTURANT MANAGER is a multi-purpose inventory system. It can be used in Restaurant’s order tracking, IT product management, manufacturing management, fashion house product management, hospital product tracking.It provides information such as Product Lists, Print bar codes, Print labels, Damaged product management, Multiple Warehouse management, Product transfer tracking, Purchase history tracking, Sales information tracking, Quotation Management, users, Billers, Sellers, Suppliers and Customers profile management. Also it provides information such as Brand, Model, Serial, Owner, OS, Purchased date, Warranty End date, IP-addresses and much more to have full control over your hardware and static IP-addresses for IT inventory. This PHP and MySQL based script will truly help to keep things organized!
You must be logged in to post a comment.
TUCANA MULTI-VENDOR E-COMMERCE is a dynamic, gorgeous, thoughtfully designed modern and touch-friendly e-commerce software. It has strong admin panel included without any dependency. It is developed in open source platform. It is a multipurpose E-Commerce system that supports from digital store to fashion shop, accessories store, electronic devices and everything. TUCANA MULTI-VENDOR E-COMMERCE is a great solution for all possible digital shopping website.
You must be logged in to post a comment.
Technology always makes our life easy and comfortable. Our life is now chained with rapidly growing information technology. So we can’t think anything without technology. All of manual activities are replaced by software technology. Software development may include research, planning, designing, new development, prototyping, modification, reuse, re-engineering, installation, configuration, re-configuration, maintenance, post maintenance or any other activities that result in software products. There are many approaches to software project management, known as software development life cycle (SDLC) models, methodologies, processes, or models. The waterfall model is a traditional version, contrasted with the more recent innovation of agile software development. Scrum is an iterative and incremental agile software development methodology for managing product development. Our Software company namely JBRSOFT IT FIRM follow Scrum model to ensure quality products.We are trying our best to give better experience to our clients.
JBRSOFT offers a complete packages of business solutions software that can also be used as part of a more sophisticated IT system. We develop reliable, flexible, user friendly and more secured Products. JBRSOFT IT FIRM follow Scrum model to ensure quality products. Our experienced programmer& expert business consultants are working hard to give you the best software.
User experience is always a critical factor that can make or break our project.So,UX designing is very challenging to us. Our UX design and prototyping experts team are made a board to make a blue print ensuring the best UI. They are too much experience on desktop based, web based and mobile based system layout design. They will make sure the resulting UI is highly usable across various devices and platforms.
A successful commercial product must be capable to meet diverse user needs and is different from typical software projects. A senior management team with a combined business experience of over 5 years spearheads the organization. So, experience is our major asset to serve best. So, we develop complete package solutions to your business problems.
JBRSOFT IT FIRM is a leading software firm located at Dhaka that concern to produce world class Software. Because we know “today which product is new in market tomorrow that is old products”. So, JBRSOFT concern to update new technology compatible products. We don’t just create custom software’s, we build complete package solutions to your business problems. We’ve got a 5 years success record and the trust of the Bangladeshi’s brands. We are always working hard to achieve the goal to deliver the comfort to your door. Development Platform: Java, PHP, Python, Oracle, MySQL, MongoDB, PostgreSQLetc
ERP:Our service offerings utilize Panorama’s proprietary PERFECT Methodology and represent our 360-degree focus on every task necessary to ensure that our clients achieve the most business benefits possible. BMS:At JBRSOFT, we live in a high performance culture. Our vision is to share our enthusiasm for success by delivering high performance security systems which embrace today’s IP technology. Our core values of reliability and innovation translates into the best-of-breed solutions we provide to our customers.
We provide your site with responsive that will helpful to show in desktop, laptop, Android, iPhone, iOS and tablet. We develop back-end with more secured. Also our experienced programmer follow Agile process. We provide web apps and several Content management System (CMS). The team has extensive experience in designing & developing website using:
Java: The demands of today’s business world dictate terms to IT companies around the globe. In order to meet these high standards web development companies have to enhance their technological expertise and extend the basis for enterprise application development. PHP: Effective web site design today requires programming skills. The rapid devolvement of the web has raised the bar on web site design now more accurately termed web site development. We have extensive, in-depth experience with all versions of PHP on both Windows and Unix platforms. Laraval: Laravel is a web application framework with an expressive syntax. Laravels concept is that, development must be an enjoyable and creative experience for developer
OUR SPECIALITYJBRSOFT is one of the world’s leading mobile app development companies. Combining functionality with world-class design is our speciality.
DEVELOPMENT LIFE CYCLE We provide your site with responsive that will helpful to show in desktop, laptop, Android, iPhone, iOS and tablet. We develop back-end with more secured. Also our experienced programmar follow Agile process.
We provide web apps and several Content management System (CMS). The team has extensive experience in designing & developing website using:
In order to build a successful eCommerce or eBusiness solution eCorner follows a proven formula for success. OUR SPECIALITY The first and most important component when considering moving your business online is to build an ecommerce strategy. The strategy is the cornerstone of the business and guides the development and growth. The strategy is developed to include: Mission and Aims Business Objectives Business Alignment Tactical Deployment Marketing Requirements and Goals Content Gathering and Management Fullfillment and Logistics Financial Management and Payments Social Media Platform and Technology Maintenance and Management Review and Recycle eCorner can help build and deliver your eCommerce Strategy.
DEVELOPMENT PLATFORM: PHP LARAVEL Java:The demands of today’s business world dictate terms to IT companies around the globe. In order to meet these high standards web development companies have to enhance their
technological expertise and extend the basis for enterprise application development. PHP: Effective web site design today requires programming skills. The rapid development of the web has raised the bar on web site design now more accurately termed web site development. We have extensive, in-depth experience with all versions of PHP on both Windows and Unix platforms. Laraval: Laravel is a web application framework with an expressive syntax. Laravels concept is that, development must be an enjoyable and creative experience for developers.
E-COMMERCE SOLUTIONS The aim of the company is to design and develop website that are remembered and recognised; that make a lasting impression, attractive, readable and most of all, don’t look familiar or like the average website. We have 3 years+ experience on web design and development. Our main goal is to provide unique and creative design. A creative design can change your business status, our team easily understand your need, thinking and requirements . We provides in designing web sites, developing web plugings, system design, database solutions, software solutions, and custom programming services. To design and develop your website we use wide variety of programming languages, including HTML5,CSS3,Bootatrap,Foundation,Java Script, AJAX, jQuery, PHP, YII, CodeIgniter, MySQL, Oracle Databases and also. Our programmar used several Website Mocup tools for pre-designing.
Our consultants are entrepreneurial, bold and question the conventional. They own your business challenges, identify new opportunities and re-imagine business solutions to help create new markets and disrupt existing ones. We are successfully defining, designing and delivering value to corporations across industries such as financial services, insurance, retail, logistics, healthcare, manufacturing and telecommunications.
JBRSOFT is looking for people with at least 1/2 years of hands-on experience in Software or IT Marketing or MIS Field.
Flat-601, House-18, Road-17, Nikunja-2, Khilkhet, Dhaka-1229, Email: jbrsoft10@gmail.com, Website: www.jbrsoft.com
Send your CV to jbrsoft10@gmail.com with the subject “Software Marketing and Sales Executive”.
See detail: www.jbrsoft.com/job-seekers
Bachelor In CSE or IT related Graduate is preferable if & only if experienced on marketing relevant field.
Flat-601, House-18, Road-17, Nikunja-2, Khilkhet, Dhaka-1229, Email: jbrsoft10@gmail.com, Website: www.jbrsoft.com
Salary: Negotiable
Send your CV to jbrsoft10@gmail.com with the subject “Software Marketing and Sales Executive”.
See detail: www.jbrsoft.com/job-seekers